۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
মহানবী ( সা:) এবং আহলুল বাইতের ( আ:)
মহানবী ( সা:) এবং আহলুল বাইতের ( আ:)

হাওজা / মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সা:) ছিলেন জামিউল্ কালিম । তাই তাঁর এ বাণী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, মহানবী ( সা:) এবং আহলুল বাইতের ( আ:) ইমামদের ( আ:) হাদীসসমূহে নিরাপত্তার গুরুত্বের উপর জোরালো তাগিদ দেয়া হয়েছে ।

مقوله امنیت و اهمیت آن در احادیث امامان معصوم(ع) فراوان مورد تأکید قرار گرفته است.

  از دیدگاه پیامبر(ص) امنیت یکی از چهار نعمتی است که با آن نعمت‌های الهی، کامل می‌شود.

মহানবীর ( সা:) দৃষ্টিতে নিরাপত্তা হচ্ছে ঐ চার নেয়ামতের অন্তর্ভুক্ত যেগুলোর মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে মহান আল্লাহর নেয়ামত সমূহ পূর্ণতা লাভ করে ।

মহানবী ( সা:) বলেন :

কোনো ব্যক্তি যদি তার দিন রাত অতিবাহিত করে এমন অবস্থায় যে সে  তিন বিষয়ের অধিকারী , তাহলে সে হবে যাবতীয় পার্থিব ( দুনিয়াবী ) নেয়ামতেরই  অধিকারী : ( আর এ ধরণের ব্যক্তি হচ্ছে ) ঐ ব্যক্তি যে  তার সকাল ও সন্ধ্যা সুস্থাবস্থায় এবং নিরাপদ ভাবে দুশ্চিন্তা ছাড়াই অতিবাহিত করে এবং  দৈনিক খাদ্য ও খাবারও তার কাছে মজুদ ও বিদ্যমান আছে । আর সে যদি ( এ তিন নেয়ামতের সাথে ) ৪র্থ নেয়ামতটিও প্রাপ্ত হয় তাহলে তার উপর দুনিয়া ও আখেরাতের  যাবতীয় নেয়ামতই পূর্ণ হয়ে যাবে । আর এই ৪র্থ নেয়ামতটি হচ্ছে ইসলাম ধর্ম । ( দ্র : আল - কাফী , খ: ৮ , পৃ : ১৪৮ ,  হাদীস নং ১২৭ )

ایشان می‌فرماید: هر کس شب و روز خود را سپری کند و از سه چیز، برخوردار باشد، نعمت دنیا را کامل دارد: کسی که بام و شامش را در تندرستی و امنیت و آسایش خاطر بگذراند و خوراک روزانه خود را داشته باشد. حال اگر چهارمین نعمت را هم داشته باشد، نعمت دنیا و آخرت بر او کامل شده است و آن نعمت، اسلام

است. (الکافی: ج 8 ص 148 ح 127).

হযরত রাসূলুল্লাহর ( সা:) দৃষ্টিতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার গুরুত্ব কেউ জানে না ( বা সঠিক উপলব্ধি করে না ) । তিনি ( সা:) বলেন :

দুটো নেয়ামত আছে যেগুলোর গুরুত্ব অস্বীকৃত ও অজানাই থেকে যায় : ১. নিরাপত্তা এবং ২. স্বাস্থ্য ও সুস্থতা ( রোগ থেকে মুক্ত থাকা এবং রোগাক্রান্ত হলে আরোগ্য ও শিফা লাভ করা ) ।

( দ্র : আল - খিসাল : ১৫ , হাদীস নং ৫ ; বিহারুল আনওয়ার :খ:৮১, পৃ:১৭০, হাদীস নং ১ )

از نظر پیامبر(ص) قدر عافیت و

امنیت را کسی نمی‌داند. ایشان می‌فرماید: نِعمَتانِ مَكفورَتان؛ الأَمنُ وَالعافِيَهًُْ؛ دو نعمت قدرشان ناشناخته است: امنيّت و سلامت.( الخصال:ص۳۴ ح۵، بحار الأنوار: ج ۸۱ ص ۱۷۰ ح۱.)

মহানবীর ( সা:) এ দুই হাদীসের গুরুত্ব কি আমরা মুসলিম উম্মাহ যথার্থ উপলব্ধি করতে পেরেছি ? স্বাস্থ্য , নিরাপত্তা ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ( খাদ্যাভাব না থাকা  ) এমন তিনটি বিষয় যা পার্থিব জাগতিক সকল সুখ ও নেয়ামতের মূল । এ তিনটা না থাকা হচ্ছে এ জগতে মানুষের কিছুই নেই ; তাঁর কোনো সুখ স্বাচ্ছন্দই নেই । সে তখন প্রকৃতার্থে ফকীর দরিদ্র কপর্দকহীন অর্থাৎ অভাবী বলেই গণ্য হবে । আবার এ তিন বিষয় যে কোনো রাষ্ট্র ও শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিতমূলও বটে । আসলে সমাজনীতি , রাষ্ট্রনীতি , রাজনীতি , প্রশাসন ,  অর্থনীতি , সমরনীতি  সব কিছুই এ তিন বিষয় কেন্দ্রিক । ব্যক্তি , পরিবার ও সমাজের ভিতও হচ্ছে এ তিন জিনিস : স্বাস্থ্য ( রোগমুক্ত থাকা : আফিয়াত ও সালামত) , নিরাপত্তা ( মানুষের জান , মাল ও ইজ্জত আব্রুর নিরাপত্তা ) এবং ( পর্যাপ্ত পরিমাণ ) খাদ্য । যদি এই তিনটির যে কোনো একটি বিদ্যমান না থাকে তাহলে পার্থিব জীবন জাহান্নামে পর্যবসিত হবেই । এই তিন নেয়ামতের সাথে ইসলাম যুক্ত হলে মানুষের ইহ লৌকিক ও পারলৌকিক নেয়ামত সমূহ পূর্ণ হয়ে যাবে ।  পাশ্চাত্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  আজ এই তিন বিষয়ের কোনো একটিও ঠিক ভাবে বিদ্যমান নেই । করোনা ভাইরাস ও এর আগে প্রকাশিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিভ্রাট প্রমাণ করে পাশ্চাত্য বাসীদের স্বাস্থ্যহীনতার বিষয় । আর নিরাপত্তা সেটাও সুদূর পরাহত । খাদ্যাভাব : পাশ্চাত্য সমাজের এক বিরাট অংশ ঠিক মতো খাবার ও পুষ্টি পাচ্ছে না । ফুড স্ট্যাম্প ও লংগর খানার উপর অনেকেই সেখানে নির্ভর শীল । অনেকে অভুক্তও থাকছে সেখানে । তাই সত্যিকার অর্থে এ তিন নেয়ামত সেখানে অনুপস্থিত । বাদ বাকি বিশ্বের অবস্থা আর উল্লেখ করাই নিষ্প্রয়োজন । কেবল গুটিকতক স্ক্যান্ডিনাভিয়ান ( Scandinavian ) দেশে - আর এ সব স্ক্যান্ডিনাভিয়ান  দেশের লোক সংখ্যাও খুব কম - এ তিন বিষয়ে তুলনামূলক কিছু কাজ করা হয়েছে বলে এ দেশগুলোর অবস্থা অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে ভালো । তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কতকাল ঐ সব দেশের অবস্থা ঠিক থাকবে সেটা দেখার বিষয় । তাই  যে দেশে জনগণের জন্য এ তিন বিষয় : নিরাপত্তা , স্বাস্থ্য ও খাদ্য বিদ্যমান  সে দেশের জনগণের জন্য যাবতীয় পার্থিব নেয়ামতই পূর্ণ হয়েছে ।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সা:) ছিলেন জামিউল্ কালিম । তাই তাঁর এ বাণী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কারণ , ছোট অথচ গভীর সারবত্তা ও তাৎপর্যপূর্ণ এ বাণীতে আসলে সফল ও সার্থক সরকার ও প্রশাসন ( হুসনে মুদীরীয়াত ও হুকূমতদারী ) অর্থাৎ সুশাসনের সুফল ও উপকরিতা বর্ণিত হয়েছে । কারণ সুশাসন ও ভালো যোগ্য প্রজা বৎস্যল সরকারের অধীনে জনগণ ও প্রজাকুলের নিরাপত্তা , স্বাস্থ্য ও খাদ্য সুনিশ্চিত হয় । আর বুদ্ধি বৃত্তিক ভাবে এবং সামাজিক ও লৌকিক অভিজ্ঞতার আলোকেও ( আক্বলী ,উরফী ও উকালায়ী عقلي ، عرفي و عقلائي ) প্রমাণিত যে এ তিন বিষয়ের সমাহারে পার্থিব ইহলৌকিক জীবনের যাবতীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্য ও নেয়ামত পরিপূর্ণ হয় । মহানবী ( সা.) মতো কেউ কি সুন্দর ও পূর্ণাঙ্গ ভাবে বলতে পেরেছে : জনকল্যাণমূলক সরকার ও প্রশাসনের বৈশিষ্ট্য কী ?!! আর এ তিন বৈশিষ্ট্য নিঃসন্দেহে একটি প্রগতিশীল সমাজেরও পরিচায়ক ।

আজ পর্যন্ত দুনিয়ার কোনো ইজম ও মতবাদ এত সুন্দর , চমৎকার ও সার্থক ভাবে অল্প কথায় এবং সবার বোধগম্য সাবলীল ভাষায় একটি আদর্শ সরকার ও প্রশাসন এবং প্রগতিশীল সমাজের চিত্র ও স্বরূপ উপস্থাপন করতে পারে নি ।

অনুবাদ : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .